কোভিড পরিস্থিতি ও লকডাউনে টানা ছয় মাস কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল।এবার পঠন-পাঠনের প্রস্তুতি শুরু পথে। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ট্যুইট করে জানান কবে থেকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে এবং গাইডলাইন কি দিতে চলেছে সেই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দিয়েছিলেন। গতকাল ২৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউজিসি তরফে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস কবে থেকে শুরু, পঠন পাঠনের ক্ষতি রুখতে কিভাবে সামাল দেওয়া হবে তা নিয়ে বিস্তারিত গাইড লাইন জারি করা হল। নভেম্বর থেকে শুরু হবে ক্লাস।
তিন পাতার এই গাইডলাইনে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের ক্ষতি কমানোর জন্য যদি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় চায়, তাহলে সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস নিতে পারে। অর্থাৎ ক্লাসের সংখ্যা বাড়ানোর অধিকার রয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে ছুটির সংখ্যাও কমাতে পারে। তাহলে এই ক’দিনে যা ক্ষতি হয়েছে তা অনেকটাই পূরণ করা যাবে।
গাইডলাইনে জানানো হয়েছে, পয়লা নভেম্বর থেকেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রথম বর্ষ বা প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু করতে হবে। কিন্তু কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি ফলপ্রকাশ বা ভর্তি প্রক্রিয়ায় কিছুটা দেরি হয় তাহলে ক্লাস ১৮ নভেম্বরের পরে শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে অনলাইনে পঠন-পাঠনের কাজ চালাতে হবে।
কলেজগুলিতে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির প্রক্রিয়া অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা দিয়ে ভর্তির প্রক্রিয়া ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার কথা বলা হয়েছে। ইউজিসি জানিয়েছে, প্রয়োজনে প্রভিশনাল অ্যাডমিশন করা যেতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ভর্তি হয়ে ক্লাস শুরু করে দিতে পারে পড়ুয়ারা। দরকার হলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের নথি যাচাই করে দেখতে পারে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। তবে যেহেতু করোনার ফলে দেশের অর্থনীতি বিপন্ন ও এই সময়ের মধ্যে অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ হয়েছে, তাই যেসব ছাত্র-ছাত্রীদের আবেদন বাতিল হবে, তাদের আবেদনের পুরো টাকা ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যে স্বাস্থ্যবিধি বলে দেওয়া হয়েছে সেগুলি মেনেই ক্লাস হবে। তবে পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে কিছু নিয়মে বদল করতে পারে। যদিও কোনও বদলের আগে তা ইউজিসিকে জানাতে হবে। অনুমতি দেওয়ার পরেই সেই বদল হবে। যদি ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হয়, তাহলে ভর্তি প্রক্রিয়াতেও প্রয়োজন অনুযায়ী বদলের নির্দেশ দিয়েছে ইউজিসি।